বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, দোহার: ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করে আওয়ামী লীগের পক্ষে উসকানি দিয়ে মন্তব্য করায় আইনশৃংখলা বাহিনী ও গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য শেখ সাজেদা রুনুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০ এর একটি টিম।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে তাঁকে আটক করে র্যাবের একটি আভিযানিক দল। তাঁকে রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকার একটি বাড়ি হতে আটক করে র্যাব। রুনু দোহার উপজেলার খালপাড় এলাকার সামসুল ইসলাম খোকনের মেয়ে। সন্ধ্যায় তাঁকে দোহার থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
পুলিশ জানায়, দোহারে প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া নারী নেত্রীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাজেদা ইসলাম রুনু। ২০২৪ সালের ৫আগষ্টের পর হতে রুনু তার ফেসবুকে এসে লাইভে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এতে সে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে বলে মনে করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। শুক্রবার ১৫আগষ্ট শেখ রুনুু শেখ মুজিবুর রহমানের শোক দিবস পালনের জন্য দোহারে তার বাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা ও তোবারক বিতরণের ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল করেন। এসব দেখে আইনশৃংখলা বাহিনী তাঁকে আটক করতে কটোর নজরদারিতে রাখে। পরে কেরানীগঞ্জ থেকে র্যাব আটক করে দোহার থানায় সোর্পদ করে।
কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রী বলেন, রুনু মূলত উৎশৃংখল টাইপের। একটি চক্রের সাথে মিশে সে রাজনৈতিক প্রপাগন্ডা ছড়াতো। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যা করার সবই করেছে। তার কোনো চাকরী বা আয়ের উৎস নেই। কিন্তু ঢাকা শহরে আলিশান ফ্ল্যাট বাসায় থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা দোহারের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সাথে সখ্যতার কারণেই সে ৭ বছরে রাজনীতিতে ভাইরাল হয়। তার চলাফেরায় দল ও নেতারা অনেক সময়ই বিব্রত হতো। বহু নেতার সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়েছে। সে কারণে দোহারে আলোচনার শীর্ষে।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী বলেন, আটক রুনুকে জুলাই গণ-অভূত্থানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ঘটনায় হামলা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁর সন্ত্রাস বিরোধী আইনেও মামলা রয়েছে। শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।